My Life Story
আমার জীবনের সফলতার গল্প কল্পনা নয় বাস্তব
আপনি যদি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে এই পোস্ট আপনি সম্পন্ন একবার পড়ুন, আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অনলাইনে কাজ করে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন ১০০% গ্যারান্টি
আপনি যদি আমার জীবনের এই গল্পটি পড়েন তাহলে আপনার জীবনের সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ।
অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
আমার জীবনের গল্পটি যদি আপনি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আমি ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলছি আপনি অন্তত 10 মিনিটের জন্য নীরবতা পালন করে ভাবতে থাকবেন আর বলবেন কিভাবে এই ছেলেটি এসব করতে পারল।
- আমার নাম: কবির হোসেন,
- আমার জন্ম: ১৪/০৬/১৯৮৭,
- আমার লেখাপড়ার যোগ্যতা ক্লাস ফোর,
কিন্তু আজ আমি একজন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভলপার এবং ওয়েবসাইট ডিজাইনার হিসাবে পরিচিত তবে যদি আপনি আমার লেখাপড়ার যোগ্যতা দেখেন তাহলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন আপনি অবাক হয়ে ভাবতে থাকবেন যে কিভাবে একজন মানুষ শুধুমাত্র ক্লাস ফোর পর্যন্ত লেখাপড়া করে সে এন্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করে অথবা ওয়েবসাইট ডিজাইন কিভাবে করে তবে যদিও আপনার মেনে নিতে কষ্ট হয় তবুও সেটাই বাস্তবতা
আমার সফলতা এখানেই শেষ নয় আপনি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন,
আমার জীবনের সব সুখ দুঃখের কথা বলতে চাই কারণ আমার সফলতার পিছনে রহস্য কি এবং কিভাবে আমি সফল হলাম সে বিষয়ে যদি বিস্তারিত সবকিছু খুলে না বলি তাহলে আপনার মনে আগ্রহ আসবে না যদি আপনি আমার মত হয়ে থাকেন তাহলে আমার এই জীবন যুদ্ধের কাহিনী পড়ার পর আপনার জীবনে ও সফলতা ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।
১৬/১১/২০০৮ ইংরেজি আমি বিদেশে পাড়ি জামাই,
আমার প্রবাসে যাওয়ার পেছনে আমার মায়ের হাত আমার মা অনেক চেষ্টা করে আমাদের পাশের বাড়ির একজন চাচার সাথে কথা বলে আমাকে বিদেশে পাঠিয়েছেন তবে বিদেশে যাওয়ার জন্য টাকার প্রয়োজন কিন্তু তখন আমাদের কাছে কোন ক্যাশ টাকা ছিল না তাই আমার বাবার জমি বিক্রি করে আমি বিদেশে যাই।
আমার প্রবাস জীবন যুদ্ধ শুরু ইউনাইটেড আরব আমিরাতে যার নাম দুবাই,
দুবাই যাওয়ার পর প্রথমে আমি রাজমিস্ত্রি কাজ করেছি এবং ধীরে ধীরে অন্যান্য কাজে জড়িয়ে যায় যেমন পেইন্টিং, প্লাম্বিং, ওয়াটারপ্রুফ, টাইলস, এলমনিয়াম সিলিং, জিপসন সিলিং, টেলিভিশন ডিস ও ইন্টারনেট ওয়াইফাই এর কাজ শিখেছি এবং আরো অনেকগুলো কাজ শিখেছি এক কথায় শেষ আমার চোখের সামনে যে কাজ এসেছে সেই কাজ আমি করেছি অর্থাৎ মেনটেনেন্স জগতে যতগুলো কাজ আছে সবগুলো কাজ আমি করেছি একটা বিল্ডিং বানানোর জন্য যতগুলো কাজ এর প্রয়োজন সব কাজ করেছি এবং সব কাজের ভালো দক্ষতা অর্জন করেছি ।
এই কাজগুলো করতে করতে আমার দিন যাচ্ছে মাস যাচ্ছে বছর যাচ্ছে এভাবে প্রবাস জীবন চলছে এবং পাশাপাশি আমার পরিবারের অভাব দূর হচ্ছে আমার পরিশ্রম এর কারণে।
অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমার এক বন্ধু আমাকে একটি লিংক দিয়ে বললো এই লিংকে ক্লিক করে দেখুন টাকা ইনকাম করা যায় কি না
তখন আমি এই লিংক পাওয়ার পর ক্লিক করে ওপেন করলাম তখন দেখলাম একটি ওয়েবসাইট এ নিয়ে গেল এবং সেই ওয়েবসাইটে ডলার হিসেবে টাকা ইনকাম করা যায় তবে কিছু কাজ আছে সেগুলো করলে আপনি ডলার পাবেন
তখন আমি কোন ইংরেজি লেখা বুঝতাম না আমি সেগুলো বাংলায় ট্রান্সলেট করে পড়েছিলাম এবং সেই সময় আমি অনেক ভেবেছি ইংরেজি নিয়ে কারণ যদি কেউ অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চায় তাহলে তার ইংরেজি লেখাপড়া থাকতে হবে তাছাড়া অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে না এখন আমি কি করবো তা ভাবতে ভাবতে একসময় আমি ডিসাইড করলাম প্রথমে কিছুটা ইংরেজি শিখবো
আমি এই ওয়েবসাইটে কাজ করা শুরু করলাম এবং পাশাপাশি ইংরেজি শেখার চেষ্টা করছিলাম তবে আমি দুবাই টাকার কারণে ধীরে ধীরে কিছুটা ইংরেজি শিখে ফেলি কারণ দুবাই শহরে যত মানুষ আছে সবাই কমবেশি আরবি এবং ইংরেজি জানে সবাই আরবি অথবা ইংরেজিতে কথা বলে তাই আমিও চেষ্টা করতে থাকি ইংরেজি শেখার জন্য তখন আমি আরবি জানতাম এবং আরবিতে সবার সাথে কথা বলতাম
পরে আমি ভাবলাম আমি এখন আর আরবিতে কথা বলবো না আমি সবার সাথে ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করব তাহলে আমি অনেক সহজে ইংরেজি শিখতে পারবো তাই আমি সবার সাথে ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করি এবং ধীরে ধীরে আমি ইংরেজি বুঝতে পারছি
কিছুদিন পর দেখলাম আমি কিছুটা ইংরেজি বুঝি তখন আমি অনলাইনে ঘাটাঘাটি শুরু করলাম কিভাবে অনলাইন থেকে সহজে টাকা ইনকাম করা যায়
এসব রিচার্জ করার পাশাপাশি আমি সেই ওয়েবসাইটে কাজ করছিলাম এবং সেখানে আমার ৭৫ ডলার হয়েছিল কিন্তু দুঃখের ব্যাপার সেই টাকাগুলো আমি উইথড্র করতে পারি নি সেই ওয়েবসাইট ছিল ফ্রড ওয়েবসাইট আমার টাকাগুলো আমাকে দেয়নি তাই আমি ওই ওয়েবসাইটে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছি
তারপর আমি দিনের বেলায় আমার আরবির কাজ করতাম এবং রাত্রে আমি মোবাইল নিয়ে যেকোনো এক নির্জন জায়গায় বসে ঘাটাঘাটি করতাম কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায় এবং কোন কাজ করলে অনলাইন থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায় এবং কিভাবে কাজগুলো শিখতে হয় সেই বিষয় নিয়ে রাত্রে প্রায় ৩ টা পর্যন্ত রিচার্জ করতাম
youtube ওপেন করে সার্চ করতাম কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায় সার্চ করার পর অনেকগুলো ভিডিও আসতো সেই ভিডিওগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখতাম এবং ধীরে ধীরে কিছুটা আইডিয়া হতে লাগলো আবার কোন সময় গুগলে গিয়ে সার্চ করতাম how to make money in online এভাবে বিভিন্ন জায়গায় আমি রিচার্জ করেছি কিভাবে সহজে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়
কিভাবে সহজে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায় এই বিষয়টা জানার কারন হচ্ছে আমার তেমন লেখাপড়া ছিল না তাই আমি সহজ পদ্ধতি চাইতাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম সহজ বলতে কিছুই নেই তবে যদি আপনার কোন কিছু জানা তাকে তাহলে আপনার জন্য সহজ তাছাড়া আপনার কাছে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
দুই মাস রিচার্জ করার পর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি ইউটিউবিং করব অর্থাৎ আমি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করব এবং সেই চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করব তখনকার সময়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার পর
যখন ইউটিউব চ্যানেলে ১০ হাজার বিউ আসতো তখন চেনেন মনিটাইজেশন করা যেত মনিটাইজেশন মানে হচ্ছে আপনার চ্যানেলে ভিডিওতে youtube এর পক্ষ থেকে অ্যাড দেখানো হতো এবং সেই এড দেখানো বিনিময়ে ইউটিউবারদের টাকা দিত কিন্তু সেই টাকাগুলো আসতো এডভাইজারদের কাছ থেকে কিন্তু youtube নিজের কাছে রাখতো ৪৫% এবং ইউটিউবারদের দিত ৫৫%
যাই হোক পরে আমি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করি এবং সেই চ্যানেলে প্রতিদিন একটি করে ভিডিও আপলোড করা শুরু করি এবং যখন ৯০ টি ভিডিও আপলোড করেছি আমার ইউটিউব চ্যানেলে তখন আমার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ভিউ ছিল ৮ হাজার এবং ৩০০ সাবস্ক্রাইবার
৯০ টি ভিডিও আপলোড করার জন্য আমার সময় লেগেছিল তিন মাস এবং ঠিক ওই সময় ইউটিউবার নিয়ম বদলে যায় ইউটিউব এর আপডেট আসে এবং সেই আপডেটে ইউটিউব জানিয়ে দিয়েছিল যখন আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম কমপ্লিট হবে তখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন হবে অর্থাৎ আপনি তখন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তাছাড়া কোন টাকা আপনি পাবেন না।
যখন আমি দেখলাম এই আপডেট আসলো আসার পর আমি অনেকটা ভেঙ্গে পড়লাম আমি ভাবলাম এই হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম কমপ্লিট করা আমার পক্ষে সম্ভব হবে না কারণ আমার ভিডিও রেঙ্ক হচ্ছে না তাই আমি ভাবলাম আর ইউটিউবে আমাকে দিয়ে কিছু হবে না মনে করেছিলাম ইউটিউবে সহজে টাকা ইনকাম করা যায় কিন্তু তিন মাস কাজ করার পর দেখলাম আমার পক্ষে ইউটিউবে কাজ করা সম্ভব হবে না কারণ youtube এ কাজ করে আমি টাকা ইনকাম করতে পারব না।
৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম কমপ্লিট করা অনেক সহজ নয় সেটা অনেক কষ্টের যদি আপনার ভিডিও রেংক না করে আপনার ভিডিও ভিউ না হয় তাহলে কিভাবে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম হবে একজন নতুন ইউটিউবারের পক্ষে এটা অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করে টাকা ইনকাম
তারপর ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা বন্ধ করে দিয়ে এক সপ্তাহ নিরব ছিলাম আর ভাবতেছিলাম কিভাবে কি করব তবে আমাকে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে হবে যেভাবেই হোক না কেন এই চিন্তাটা মাথায় ছিল এবং এক সপ্তাহ পর আমার মাথায় আসলো আমি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করে টাকা ইনকাম করব।
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করেছিলাম আমার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করার জন্য ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার এর প্রয়োজন তাই আমি অনলাইনে দেখলাম একটি ল্যাপটপ বেচাকেনা ওয়েবসাইট এবং সেই ওয়েবসাইটে গিয়ে অনেকগুলো ল্যাপটপ দেখলাম কিন্তু আমার পছন্দ হয়েছে একটি ল্যাপটপ যার নাম Acer Chromebook laptop এই ল্যাপটপ অর্ডার করলাম এবং তিনদিন পর আমার রুমে এসে কুরিয়ার সার্ভিস ওয়ালা দিয়ে গেছে ল্যাপটপটি।
এই ল্যাপটপ এখনো আমার কাছে আছে এবং এখনো আমি এই ল্যাপটপে কাজ করি তবে তারপর আমি আরো তিনটি ল্যাপটপ কিনেছি সর্বমোট আমার কাছে এখন চাকরি ল্যাপটপ আছে কিন্তু আমি প্রথমে যে ল্যাপটপ কিনে কাজ শুরু করেছিলাম সেই ল্যাপটপ এর ফটো দেখুন নিচে 👇
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করে টাকা ইনকাম,
ল্যাপটপ হাতে আসার পর আমি প্রথমে ইউটিউবে ঘাটাঘাটি শুরু করলাম কিভাবে এন্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করতে হয় তা নিয়ে এবং অনেকগুলো ভিডিও দেখলাম সেই ভিডিওগুলো দেখে কিছুটা আইডি পেলাম এবং আমার ল্যাপটপ এ কাজ শুরু করলাম এভাবে ভিডিও দেখি আর কাজ করি
এভাবে কাজ করতে করতে কিছুদিন পর দেখলাম আমার ভালো একটা আইডিয়া হয়েছে এবং একটি অ্যাপস তৈরি করতে শুরু করলাম প্রায় ১০ দিন পর একটি অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে তবে অ্যাপসটি এতটা ভালো মানের হয়নি ডিজাইনিং সুন্দর হয়নি কারণ প্রথম অ্যাপস তাই কিভাবে ডিজাইন করব ভেবে পাচ্ছিলাম না তবে যাইহোক স্বাভাবিক একটি অ্যাপস তৈরি করেছিলাম এবং সেই অ্যাপস এর নাম ছিল ( প্রবাস জীবনে কষ্ট ) এবং সেই অ্যাপস এ প্রবাস জীবনের কষ্টের গল্প লেখা ছিল যেহেতু আমি প্রবাসে ছিলাম তাই প্রবাসীদের কষ্টের কথা ভেবে দেখলাম প্রবাসীদের কষ্ট নিয়ে প্রবাসীদের কষ্টের গল্পের একটি অ্যাপস তৈরি করব তাই আমি সেই অ্যাপসটি তৈরি করেছিলাম।
প্রবাস জীবনের কষ্টের গল্প নামের সেই অ্যাপসটি আমি গুগল প্লে কনসোল অ্যাকাউন্টে পাবলিশ করেছিলাম তবে গুগল প্লে কনসোল অ্যাকাউন্ট করার জন্য ২৫ ডলার ফি দিতে হয়েছিল
গুগল প্লে কন্সল একাউন্ট অ্যাপস আপডেট করলে গুগল প্লে স্টোরে পাবলিশ হয় যেখান থেকে আমরা সবাই এন্ড্রয়েড অ্যাপস ডাউনলোড করি সেই অ্যাপস স্টোর কিন্তু google প্লে কন্সোল এ অ্যাপস আপডেট করার জন্য কিছু নিয়ম আছে এবং কিছু সেটিংস সেগুলো আপনাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে অর্থাৎ যে সেটিংস গুলো আছে সেই সেটিংস গুলো নিয়ম অনুসারে ফিলাপ করতে হবে যদি এই কাজগুলো ভুল হয় তাহলে আপনার অ্যাপস প্লে স্টোরে পাবলিশ হবে না রিজেক্ট হয়ে যাবে তাই আপনাকে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে।
এভাবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করে প্লে স্টোরে পাবলিশ করা শুরু করলাম এবং কিছুদিন পর দেখলাম আমার অ্যাপস ডাউনলোড হচ্ছে।
যখন আমি দেখলাম আমার অ্যাপসগুলোতে ডাউনলোড আসছে তখন আমি ভাবলাম আমার অ্যাপস এ এড লাগাবো এবং টাকা ইনকাম করব
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য অ্যাপস এ Google Admob এর এড লাগাতে হয় Google Admob এর এড না লাগালে আপনার অ্যাপস থেকে কোন টাকা আসবে না তাই আমি আমার অ্যাপ্স এ google Admob এর এড দেখানো শুরু করলাম।
আমার সকল অ্যাপ্স এর মধ্যে গুগল অ্যাড মুড এর এড লাগিয়ে গুগল প্লে স্টোরে এপ্সটি আপডেট করে দিয়েছি
তারপর আমি দেখলাম প্রতিদিন ১ ডলার পরিমাণে আমার আয় হচ্ছে এবং আমি অনেক আনন্দিত হই তারপর আমার আরো উৎসাহ বাড়ে এন্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করার জন্য।
এভাবে কাজ করতে করতে আমি একসময় দেখি আমার একাউন্টে ১০ ডলার হয়েছে এবং গুগল আমার ঠিকানায় একটি চিঠি পাঠিয়েছে এবং সেই চিঠিতে একটি পিন কোড আসে সেই পিন কোড দিয়ে আমার Admob একাউন্ট ভেরিফাইড করার জন্য বলছে এবং বিস্তারিত লিখে আমার কাছে একটি ইমেইল পাঠিয়েছে ।
তখন আমি আমার দেশের address দিয়েছিলাম আমার দেশের address অনুযায়ী আমাদের পোস্ট অফিসের একটি চিঠি আসে একমাস পর এবং সেই চিঠি আমি রিসিভ করিয়েছি আমার এক ছোট ভাইকে দিয়ে এবং সেই চিঠিতে আশা পিন কোড দিয়ে আমি আমার Admob অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড করেছিলাম।
আমার Admob একাউন্ট ভেরিফাইড করার পর আমাকে বলছে আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার অ্যাড করার জন্য এবং সাথে সাথে আমি আমার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার অ্যাড করেছি সেই একাউন্ট ছিল আমার দেশের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার আমি আমার দেশের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার অ্যাড করে দিয়েছিলাম।
দুই মাস পর আমি দেখলাম আমার Admob অ্যাকাউন্টে ১০০ ডলার হয়েছে তখন আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম কারণ ১০০ ডলার না হলে Admob থেকে টাকা ট্রান্সফার করে না যখন আপনার ১০০ ডলার হবে তারপরের মাসের ২১ তারিখ আপনার পেমেন্ট রিলিজ করে দেবে আপনার একাউন্টে মাধ্যমে।
যখন আমি দেখলাম দুই মাসের আমার ১০০ ডলার হয়ে গেছে তারপরের মাসের ২১ তারিখ আমার টাকা আমার ব্যাংকে পাঠিয়েছে এবং আমাকে একটি ইমেইল করে জানিয়ে দিয়েছে যে আপনার টাকা আমরা সেন্ড করে দিয়েছি তখন আমি কি পরিমাণ খুশি হয়েছিলাম তা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না
ইমেইল পাওয়ার পর অপেক্ষা করতেছি কবে আমার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হবে এভাবে তিনদিন চলে যায় চার নম্বর দিনে একটি মেসেজ আসে আমার দেশের মোবাইলে এবং সেই মেসেজে লেখা ছিল আমার টাকা আমার ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়ে গেছে তখন আমি আর আমার আনন্দ ধরে রাখতে পারলাম না আমার চোখে পানি এসে গেছে কিন্তু সেই চোখের পানি ছিল আনন্দের তখন আমি বুঝতে পারলাম মানুষের দুঃখে চোখের পানি আসে তবে অতিরিক্ত সুখ পেলেও চোখের পানি আসে।
এভাবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করা শুরু করে টাকা ইনকাম করতে শুরু করলাম এবং একসময় দেখা গেল প্রতিমাসে আমার 300 থেকে 500 ডলার পর্যন্ত ইনকাম হয় আমার অ্যাপস থেকে।
দিনের বেলায় আমি আমার আরবির কাজ করি এবং রাত্রে এন্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করার কাজ করি এভাবে কাজ করতে করতে যখন ২০২০ ইংরেজি হয় তখন আমি ভাবলাম এখন আর আমার বিদেশ থাকার কোন প্রয়োজন নেই আমি দেশে চলে যাব আমার নিজের দেশে গিয়ে আমি সেই কাজ করতে পারবো এবং দিনরাত কাজ করতে পারব যদি আমি দিনরাত কাজ করি তাহলে অনেকগুলো অ্যাপস তৈরি করতে পারব এবং ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে পারবো।
একতা ভাবতে ভাবতে আমি শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিলাম আমি আমার নিজের দেশে চলে যাব তাই আমি আমার আরবির সাথে কথা বললাম কিন্তু আমার আরবি আমাকে কেনচেল করতে রাজি হননি কারণ আমি অনেক কাজ জানি তাই তবে কয়েক দিন কথা বলার পর বললো ওকে তুই ছুটিতে যাবে তকে আমি কেনচেল করবনা তুই আবার ফিরে আসবে কিন্তু তখন আমি আর কোন উপায় না পেয়ে বললাম ঠিক আছে আমি আসবো
পরেরদিন আমাকে একটা বিমান টিকেট দিয়ে বললো তকে ৫ মাস ২০ দিনের ছুটি দিলাম তুই কিন্তু আবার ফিরে আসবে আমি বললাম ইনশাআল্লাহ যদি আল্লাহ তায়ালা চান তাহলে আসব।
এই বলে ২০২০ এপ্রিল ২৫ তারিখে আমার নিজের দেশে ফিরে আসলাম এবং আমার পরিবারের সবাই অনেক খুশি আমাকে নিয়ে অনেক আনন্দিত সেই সাথে আমিও অনেক আনন্দ ভুগ করলাম।
দেশে আসার পর প্রায় এক সপ্তাহ রেস্ট নিয়েছি তারপর থেকে আবার শুরু করি এন্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরির কাজ
আমি দেশে যখন এসেছিলাম তখন আমার ইনকাম ছিল প্রতিমাসে ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার এরকমই প্রায় প্রতি মাসে আসতো কিন্তু এখন বর্তমানে আমার প্রায় প্রতিমাসে ১২০০ থেকে ১৫০০ ডলার পর্যন্ত হয়
প্রমাণ হিসেবে আপনি দেখুন আমার এই মাসের ইনকাম
দেশে আসার পর আমার কাছে অনেক সময় ছিল তাই আমি ভাবলাম অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করার পাশাপাশি ওয়েবসাইটের কাজ শিখব, ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ শিখে ওয়েবসাইট তৈরি করে ওয়েবসাইট থেকেও টাকা ইনকাম করব।
ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম কিভাবে করা যায়
তারপর আমি ধীরে ধীরে ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ শিখেছি ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ শিখতে আমার প্রায় ১৫ দিন লেগেছিল,
আমার প্রথম ওয়েবসাইট এর নাম ছিল: Online Offer in Bangla আপনি যদি এই নাম লিখে গুগলে সার্চ করেন তাহলে আমার ওয়েবসাইট সর্বপ্রথম আসবে এবং সেই ওয়েবসাইটটি ভালো একটি পজিশনে আছে ওয়েবসাইট রেংক করেছিল তাই অনলাইন অফার বাংলা লিখে সার্চ করলে আমার ওয়েবসাইটটি সর্বপ্রথম চলে আসে।
অনলাইন অফার বাংলা নামের ওয়েবসাইটটি তৈরি করার তিন মাস পর মনিটাইজেশন পেয়েছি এবং google এডসেন্স এর এড লাগানো আছে এবং সেই ওয়েবসাইট থেকে ভালো পরিমাণের টাকা আর হচ্ছে।
আমার দ্বিতীয় ওয়েবসাইটের নাম: Mobile Price | Smartphone Review এই ওয়েবসাইট তৈরি করেছি শুধুমাত্র মোবাইল প্রাইস নিয়ে আমার এই ওয়েবসাইটে আপনি সম্পূর্ণ মোবাইল আপডেট পাবেন মোবাইলের দাম এবং মোবাইল স্পেসিফিকেশন ও মোবাইল সংক্রান্ত আরো অনেক তথ্য।
তবে এই ওয়েবসাইটটি এখনো মনিটাইজেশন হয়নি তবে খুব শীঘ্রই হয়ে যাবে কারণ আমার এই ওয়েবসাইট ভালো একটি পজিশনে আছে অথবা ওয়েবসাইট ডিজাইন অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছি তাই আমি আশাবাদী যদি আমি এপ্লাই করি তাহলে মনিটাইজেশন পেয়ে যাব।
এখন বেশিরভাগ সময় দেই android অ্যাপস তৈরি করার জন্য এবং পাশাপাশি কিছুটা সময় দেই ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রতিদিন এভাবেই যাচ্ছে আমার ওয়েবসাইট এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করার কাজে।
আপনাদের সামনে আমার এই জীবন কাহিনী অথবা সফলতার গল্প বলার কোন প্রয়োজন ছিল না তবুও আমি আমার জীবনের সফলতার গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম শুধুমাত্র আপনাদের মনের উৎসাহ বাড়ানোর জন্য আমি চাই আমার মত সবাই অনলাইনে কাজ করে সফলভাবে জীবন যাপন করে
এখন কথা হল আমি যদি ক্লাস ফোর পর্যন্ত লেখাপড়া করে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করতে পারি এবং ওয়েবসাইট ডিজাইন করে ওয়েবসাইটের পোস্ট লিখে টাকা ইনকাম করতে পারি তাহলে আপনি কেন পারবেন না
দেখুন অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা আমার কাছে এখন একদম সহজ বলে মনে হয়
হয়তো আপনার কাছে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার বিষয়টা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে তবে আমি ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আপনিও অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তবে আপনার মনের মধ্যে সাহস রাখতে হবে এবং আপনার মনে থাকতে হবে আমি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করে নিঃশ্বাস নেব তার আগে নয়।
ভাই আমি সত্যি বলছি আপনিও অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন কারণ আমি যেহেতু ক্লাস ফোর পর্যন্ত লেখাপড়া করে বর্তমানে অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণের টাকা করতে পারতেছি তাহলে আপনি কেন পারবেন না আপনার মনকে এই প্রশ্নটিই করে দেখুন কি উত্তর আসে আপনার মন থেকে।
এখন যদি আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আমার সাজেশন হল আপনি এন্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করেন তাহলে আপনি অল্প সময়ে সফল হতে পারবেন যদিও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করা অনেক কষ্টের হয় তবু আপনাকে চেষ্টা করতে হবে কারণ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস থেকে ভাল পরিমানে টাকা ইনকাম করা যায়।
আপনি যদি আমার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু জানতে চান তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন আমাদের ইমেইল এর মাধ্যমে।
এই পোস্ট অনেক লম্বা হয়ে গেছে তাই আমি আর এই পোস্ট লম্বা করতে যাচ্ছি না যদি আপনি আরও অনেক কিছু জানতে চান তাহলে আমাদের আরো কিছু পোস্ট আছে সেগুলো দেখুন সেই পোস্টগুলো দেখলে আরো অনেক কিছু জানতে পারবে এবং সহজে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনি কোন কাজ শুরু করবেন এবং কিভাবে অল্প সময়ে সফল হতে পারেন।
যদি আমার লেখায় কোন ধরনের ভুল পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন আমাদের ইমেইল এর মাধ্যমে।
আমার অনলাইন যুদ্ধের গল্পটি কাল্পনিক নয় বাস্তব জীবনের সফলতার গল্প
যদি ভালো লাগে তাহলে আমাদের এই পোস্ট আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না
0 Comments